নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
হাতের মেহেদীর রঙ না মুছতেই নারায়ণগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে শারমিন আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২ জুলাই) ভোররাতে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া আইলপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে স্বামী ইউসুফ (২২) কে গ্রেফতার করে।
নিহত গৃহবধু শারমিন আক্তার সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল নয়াপাড়া এলাকার লোকমান হোসেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ইসমাঈল হোসেনের মেয়ে এবং ঘাতক স্বামী ইউসুফ পটুয়াখালী জেলা সদরের ছোট বিঘা গ্রামের নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে। তারা সুমিলপাড়া আইলপাড়া এলাকার খলিলের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
নিহত শারমিনের পরিবারের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: রাসেল আহমেদ জানায়, শারমিন ও তার স্বামী ইউসুফ স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের প্রেক্ষিতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত ৩ জুন তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ছেলের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করা হয়। এই নিয়ে প্রায় সময়ই ইউসুফের পরিবার শারমিনের উপর নানা রকম নির্যাতন করতো বলে জানায় নিহতের মা ফাতেমা। এরই জের ধরে রবিবার রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইউসুফ তার স্ত্রীকে মারধর করে। পরে শারমিন অভিমান করে ৯টি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করে। এতে সে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে ভোর ৪টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় নিহতের স্বামীকেও আটক করা হয়।
নিহত শারমিনের মা ফাতেমার অভিযোগ, তার মেয়েকে নির্যাতন করেই তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন হত্যা করেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার জানান, গৃহবধু শারমিনকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগে স্বামী ইউসুফকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।